Muttaqin BD

"এটি সেই কিতাব, যাতে সন্দেহের কোন অবকাশ নেই, মুত্তাকীনদের জন্য হিদায়াত।"

Showing posts with label Tafseer. Show all posts
Showing posts with label Tafseer. Show all posts

25 January 2020

বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম এর তাফসীর

বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম


বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম কুরআন মাজিদের সুরা নামলের একটি আয়াত বা অংশ। সুরা তাওবা ব্যতিত প্রত্যেক সুরার প্রথমে বিসমিল্লাহ লেখা হয়। এটি সুরা আল-ফাতিহার অংশ, না অন্যান্য সকল সুরারই অংশ, এতে ঈমামগণ ভিন্ন ভিন্ন মত পোষণ করেছেন। ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) বলেছেন, সুরা নামল ব্যতিত অন্য কোন সুরার অংশ নয়। তবে এটি এমন একটি স্বয়ংসম্পুর্ন আয়াত যা প্রত্যেক সুরার প্রথমে লেখা এবং দু'টি সুরার মধ্যে পার্থক্য নির্দেশ করার জন্য অবতীর্ণ হয়েছে।

বিসমিল্লাহ'এর তাফসীর

বিসমিল্লাহ বাক্যটি তিনটি শব্দ দ্বারা গঠিত।

প্রথমতঃ 'বা' বর্ণ
দ্বিতীয়তঃ'ইসম' বর্ন এবং
তৃতীয়তঃ'আল্লাহ'


(১) 'বা' বর্ণ 


আরবী ভাষায় 'বা' বর্ণটি অনেক ব্যবহৃত হয়ে থাকে। তন্মধ্যে তিনটি অর্থ এ ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হতে পারে। এবং এই তিনটির মধ্যে যেকোন একটি অর্থ এ ক্ষেত্রে গ্রহণ করা যেতে পারে। 

ক. সংযোজন, অর্থাৎ এক বস্তুকে অপর বস্তুর সাথে মিলানো বা সংযোজন ঘটানো।
খ. এস্তেয়ানাত, অর্থাৎ কোন বস্তুর সাহায্য নেয়া।
গ. কোন বস্তু থেকে বরকত হাসিল করা।


(২) 'ইসম' বর্ণ


'ইসম' শব্দের ব্যাখ্যা অত্যন্ত ব্যাপক। মোটামটিভাবে এতটুকু যেনে রাখা যথেষ্ট যে, 'ইসম' নামকে (Noun)বলা হয়। অর্থাৎ নামের সাথে বোঝানো হলে 'ইসম' ব্যবহার করা হয়।


(৩) 'আল্লাহ' শব্দ


'আল্লাহ' শব্দ সৃষ্টিকর্তার নামসমুহের মধ্যে সবচেয়ে মহত্ত্বর ও তার যাবতীয় গুণাবলীর সম্মিলিত রুপ। কোন কোন আলেম একে ইসমে আ'যম বলেও অভিহিত করেছেন। এই নামটি আল্লাহ ব্যতিত অন্য কারো জন্য প্রযোজ্য নয়। এজন্যই এই শব্দটির দ্বিবচন বা বহুবচন হয় না। কেননা আল্লাহ এক, তার কোন শরীক নেই। মোটকথা, আল্লাহ এমন এক সত্ত্বার নাম, যে সত্ত্বা পালনকর্তার সমস্ত গুনাবলীর এক অসাধারণ প্রকাশবাচক। তিনি অদ্বিতীয় ও নজীরবিহীন।


সর্বোপরি, বিসমিল্লাহ শব্দের মধ্যে 'বা'-এর তিনটি অর্থের সামঞ্জস্য করলে এর তিনটি অর্থ দাঁড়াতে পারে-
এক. আল্লাহর নামের সাথে
দুই. আল্লাহর নামের সাহায্যে
তিন. আল্লাহ নামের বরকতে

কুরআন তেলওয়াত ও প্রত্যেক কাজ বিসমিল্লাহ'সহ আরম্ভ করার আদেশ

জাহেলিয়াত যুগে লোকদের অভ্যাস ছিল, তারা তাদের প্রত্যেক কাজ উপাস্য দেব-দেবীদের নামে শুরু করত। এ প্রথা রহিত করার জন্য হযরত জীব্রাইল (আঃ) পবিত্র কোরআনের সর্বপ্রথম যে আয়াত নিয়ে এসেছিলেন, তাতে আল্লাহর নামে কোরআন তেলওয়াত আরম্ভ করার আদেশ দেয়া হয়েছে (পাঠ করুন আপনার পালনকর্তার নামে)

কোন কোন বর্ণনায় দেখা যায়, স্বয়ং রাসূলে করিম (সাঃ)-ও প্রথমে প্রত্যেক কাজ "বিসমিকা আল্লাহুম্মা" বলে আরম্ভ করতেন এবং কোন কিছু লেখাতে হলেও এ কথা প্রথমে লেখাতেন। কিন্তু "বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম" অবতীর্ণ হওয়ার পর সর্বকালের জন্য 'বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম' বলে সব কাজ শুরু করার নিয়ম প্রবর্তিত হয়েছে।
-(কুরতুবি,রূহূল মা'আনী)

কোরআনুল কারীমের স্থানে স্থানে উপদেশ হয়েছে যে, প্রত্যেক কাজ "বিসমিল্লাহ" বলে আরম্ভ কর। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, "যে কাজ বিসমিল্লাহ ব্যতিত আরম্ভ করা হয় না, তাতে কোন বরকত থাকে না।"

এক হাদীসে এরশাদ হয়েছে যে, ঘরের দরজা বন্ধ করতে বিসমিল্লাহ বলবে, বাতু নেভাতে বিসমিল্লাহ বলবে, পাত্র আবৃত করতেও বিসমিল্লাহ বলবে। কোন কিছু খেতে, পানি অয়ান করতে, অজু করতে, সওয়ারীতে আরোহন করতে এবং তা থেকে অবতরনকালেও বিসমল্লাহ বলার নির্দেশ কোরআন-হাদিসে বার বার উল্লেখ করা হয়েছে।
-(কুরতুবি)

-(তাফসীরে মাআরেফুল ক্বোরআন)

24 January 2020

"একটা মজার তাফসীর বলি" সিরিজ | মাসউদ আলিমী | পর্ব ০৩

যেদিন রাসূলের একমাত্র পুত্র সন্তানটি মারা গেল, সেদিন মক্কার কাফেররা ছিল উল্লাসিত! তারা বলে বেড়াচ্ছিল-
"মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যদি স্রষ্টার প্রকৃত রাসূলই হয়, মুহাম্মাদকে যদি আল্লাহ ভালোবেসেই থাকেন, তাহলে তাকে নির্বংশ কেন রাখবেন? কেন তার পুত্র সন্তান বাঁচে না?  মুহাম্মাদ মারা গেলে তো তার বংশও সমাপ্ত। সাথে সাথে তার নাম উজ্জ্বল করার মত আর কেউ থাকবে না। আর দেখো, আমাদের প্রত্যেকের কত যোদ্ধাবাজ পুত্রসন্তান...."

তখন আল্লাহ তা'আলা এ আয়াত নাযিল করেনঃ
"হে নবী! তোমার নাম-চিহ্ন কোন দিন মুছবে না, বরং তোমার প্রতি বিদ্বেষ পোষণকারীরাই হবে নির্বংশ ও নির্মূল।"
(সূরা কাউছারঃ ৩)

আজ ১৪ শত বছর গত হয়েছে। পৃথিবীর প্রতিটা অলিগলিতে, প্রতিটা মানুষের হৃদয়ের গহীনে রাসূলের নাম। রাসূলের ভালবাসা। রাসূলকে যারা একবার হলেও দেখেছে, তাদের বংশধরও তা নিয়ে গর্ব করে। কিন্তু সেসব কাফেরদের বংশধররা আজ কোথায়? কোথায় তাদের গৌরব ও নাম উজ্জলকারী পুত্রসন্তানেরা? যদি কেউ থেকেও থাকে, তবু তাদের নামে পরিচয় দিতে চায় না!

আল্লাহ প্রমাণ করে দিলেন, ইতিহাসের পাতায় নাম উজ্জ্বল করার জন্য পুত্র সন্তান লাগে না। নিঃসন্তানকেও তিনি কিয়ামাত পর্যন্ত বংশ গৌরবের চেয়ে উঁচু মর্তবা দিতে পারেন।


[তাফসীরে ইবনে কাছীর]
লেখাঃ মাসউদ আলিমী
একটি মজার তাফসীর বলি... সিরিজটি বই আকারে প্রকাশিত হচ্ছে। সিরিজটির উদ্ভাবক মাসউদ আলিমী, একজন লেখক, অনুবাদক। এর পাশাপাশি তিনি সোশাল মিডিয়ায়ও ইসলামিক লেখালেখি করেন। সম্পুর্ন সিরিজটি পড়তে সবাইকে বইটি সংগ্রহ করে পড়ার অনুরোধ রইলো।
লেখকের ফেইজবুক আইডিঃ এখানে 

21 January 2020

"একটা মজার তাফসীর বলি" সিরিজ | মাসউদ আলিমী | পর্ব ০২

একবার মদীনায় একটা চুরির ঘটনা ঘটে। রিফা'আ ইবনে যায়েদ (রাঃ) এর ঘর থেকে এক বস্তা আটা চুরি হয়। খাদ্যের ঐ বস্তার সাথে অস্ত্রসস্ত্রও ছিল। এ মামলা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পর্যন্ত গড়ায়।
রিফা'আ রাঃ প্রায় নিশ্চিত ছিলেন এ কাজ উবাইরিক গোত্রে বাশীর করেছে। কিন্তু পেশ করার মত কোনো প্রমাণ ছিল না। এদিকে উবাইরিক গোত্র যখন দেখল গোমর ফাঁস হয়ে যাচ্ছে, তখন আটার বস্তা এক ইহুদির ঘরে রেখে আসে। রিফা'আর ঘর থেকে ঐ ইহুদীর ঘর পর্যন্ত কিছু আটা ছিটিয়ে দেয়। এরপর রাসূলের কাছে এসে বলল,
"আমরা মুসলমান। আমরা কেন যাব অপর মুসলিম ভাইয়ের ঘরে সিঁদ কাটতে? চুরি করতে? ইয়া রাসূলাল্লাহ! এটা আমাদের উপর অপবাদ! এ চুরি তো করেছে অমুক ইহুদি। বিশ্বাস না হয় সাক্ষী আছে। এমনকি চুরি করে বস্তা নিয়ে যাওয়ার সময় কিছু ময়দা রাস্তায় পড়ে ছিল।"
রিফা'আ রাঃ তখন বলতে থাকেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ!  এরা মিথ্যা বলছে। আপনি এদের কথা শুনবেন। আল্লাহর রাসূল তাকে ধমক দিয়ে থামিয়ে দেন।

আল্লাহর নবী গায়েব জানতেন না। সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত নিলেন ঐ ইহুদির হাত কাটার। সাথে আল্লাহ তা'আলা সূরা নিসার ১০৫-১১৩ পর্যন্ত নয়টি আয়াত নাযিল করেন। আসল ঘটনা ফাঁস করে দেন। একজন নিরপরাধ ব্যক্তিকে নবীর মাধ্যমে শাস্তি দেয়া হবে, এটা আল্লাহ সহ্য করেননি। হোক সে ইহুদি! হোক সে আল্লাহর দুশমন!

শত্রু মরবে, মাজলুম হয়ে মরুক কিংবা অবিচারের শিকার হয়ে, মরলেই হলো! কারো সাথে আমার মনোমালিন্য,  তো কাল সে কোনো বিপদে পড়লে আমার ভালো লাগে। আনন্দ পাই। তার উপর অবিচার হচ্ছে জেনেও চুপ থাকি। প্রতিবাদ তো করিই না, বরং "সাপও মরল, লাঠিও না ভাঙল" প্রবাদটা মেরে সেটা বৈধ করে দিতে চেষ্টা করি।  একই কথা ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলোর পরস্পরের সম্পর্ক আর মনোভাবের ব্যাপারে। কিন্তু এটাও সুস্পষ্ট অন্যায়।

"কোন বিশেষ সম্প্রদায়ের শক্রতা যেন তোমাদেরকে এর প্রতি প্ররোচিত না করে যে, তোমরা ন্যায়বিচার করবেনা। তোমরা ন্যায়বিচার কর। ন্যায়ের সঙ্গে থাকা  তাকওয়ার অধিক নিকটবর্তী।" [সূরা মায়েদাঃ ৮]

উল্লেখ্যঃ
১। আল্লাহর নবীর নেয়া সিদ্ধান্ত মোটেও ভুল ছিল না। যারা মিথ্যা সাক্ষ্য দিছে, দোষটা তাদের।
২। ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর ভয়ে বাশীর মক্কায় পালিয়ে যায়। সেখানে এক বাড়িতে চুরি করতে গিয়ে দেয়াল ধ্বসে মুরতাদ অবস্থায় মারা যায়।
[তাফসীরে কুরতবী]


লেখাঃ মাসউদ আলিমী
একটি মজার তাফসীর বলি... সিরিজটি বই আকারে প্রকাশিত হচ্ছে। সিরিজটির উদ্ভাবক মাসউদ আলিমী, একজন লেখক, অনুবাদক। এর পাশাপাশি তিনি সোশাল মিডিয়ায়ও ইসলামিক লেখালেখি করেন। সম্পুর্ন সিরিজটি পড়তে সবাইকে বইটি সংগ্রহ করে পড়ার অনুরোধ রইলো।
লেখকের ফেইজবুক আইডিঃ এখানে 

18 January 2020

"একটা মজার তাফসীর বলি" সিরিজ | মাসউদ আলিমী | পর্ব ০১

আগে আয়াতটি পড়ুনঃ
"হায় আফসোস! আমি যদি অমুককে বন্ধু রূপে গ্রহণ না করতাম।"




এবার শুনুন মূল ঘটনাঃ

ইসলামের শুরু যুগে। উকবাহ ইবনে আবী মু'আইত। নবীজির সাথে তার ভালো সম্পর্ক। একবার সে নবিজীকে ওয়ালিমার দাওয়াত করল। কিন্তু নবীজি আবদার জুড়ে দিলেন- "উকবাহ, যদি তুমি ইসলাম গ্রহণ না কর, তাহলে তোমার দাওয়াতে যাবো না।" উকবাহ ভাবলো, এ আর এমনকি। সে ইসলাম গ্রহণ করে নিল। নবীজি দাওয়াত খেয়ে চলে গেলেন।

কিন্তু এ ঘটনা উমাইয়া ইবনে খলফ শুনে রেগে গেল। সে ছিল উকবাহ অন্তরঙ্গ বন্ধু। এবং ব্যবসায়ী পার্টনার। উমাইয়াহ বলল, "উকবাহ! যদি তুমি মুহাম্মাদের ধর্ম ত্যাগ না কর, তাহলে তোমার সাথে আমার কোনো বন্ধুত্ব থাকবে না। ব্যবসায় কোনো শেয়ার থাকবে না।" উমাইয়াহ ছিল উকবাহর ঘনিষ্ঠ বন্ধু। তাই সে রাজী হয়ে গেল। এবার উমাইয়া রাসূলকে অপমান করার সুযোগটা কাজে লাগালো। বলল, শুধু ধর্ম ত্যাগ করলেই হবে না। মুহাম্মাদের ঘাড় মাড়িয়ে মুখে থুতু মেরে আসতে হবে।

আহ! বন্ধুর খপ্পরে পড়ে উকবাহ নবীজির মুখের দিকে থুতু মেরে বলে- নে তোর ধর্ম!

আল্লামা যহহাক রহি. বলেনঃ
"সে যখন রাসূলের দিকে থুতু দিল, তখন একটা গরম বাতাস সে থুতু তার মুখে নিক্ষেপ করে৷ আর তার ঠোট ও গাল ঝলসে দেয়। এবং এই দাগ মৃত্যু পর্যন্ত ছিল।"
[ তাফসীরে কুরতবী, সূরা ফুরক্বনঃ২৭ আউনুল মা'বূদঃ ৫/১৩৬]

বদরের যুদ্ধে উকবাহ ইবনে আবী মু'আইত বন্দি। যখন তাকে হত্যা করা হবে, তখন সে বল- আমাকে হত্যা করলে আমার বাচ্চাদের কী হবে? নবীজি বললেনঃ আগে নিজের জাহান্নামের চিন্তা কর। বাচ্চাদের আল্লাহ দেখবেন।
[ আবু দাউদঃ ২৬৮৬]

আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
"অপরাধী কেয়ামতের দিন স্বীয় হস্তদ্বয় দংশন করতে করতে বলবে, ‘হায় আফসোস! আমি যদি রসূলের সাথে পথ অবলম্বন করতাম। হায় দুর্ভোগ আমার! আমি যদি অমুককে বন্ধু রূপে গ্রহণ না করতাম! আমাকেতো সে বিভ্রান্ত করেছিল আমার নিকট উপদেশ পৌঁছার পর।" [সূরা ফুরক্বনঃ ২৭-২৯]

প্রিয় পাঠক!
আমার বন্ধু কারা? কাদের সাথে আমার উঠাবসা? আমার স্ত্রী কেমন? এসব নিয়ে ভাবা উচিৎ। আজকাল অনেক দীনি ভাই রূপ-সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে বেদীন মেয়েকে বিয়ে করে। বলে আস্তে আস্তে দীনের পথে চলে আসবে। অনেকে বদদীন নেতা বা প্রভাবশালীদের সাথে গভীর সম্পর্ক রাখে। তাদের জন্য এ আয়াতে যথেষ্ট শিক্ষা রয়েছে।


লেখাঃ মাসউদ আলিমী
একটি মজার তাফসীর বলি... সিরিজটি বই আকারে প্রকাশিত হচ্ছে। সিরিজটির উদ্ভাবক মাসউদ আলিমী, একজন লেখক, অনুবাদক। এর পাশাপাশি তিনি সোশাল মিডিয়ায়ও ইসলামিক লেখালেখি করেন। সম্পুর্ন সিরিজটি পড়তে সবাইকে বইটি সংগ্রহ করে পড়ার অনুরোধ রইলো।
লেখকের ফেইজবুক আইডিঃ এখানে